নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা শহরতলীর আলেখাচরে প্রতিপক্ষের চুরিকাঘাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে এমপি বাহার এনামুলের আলেখাচরের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাজী বাহার এমপি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘ ইতিমধ্যে এনামুলের দুই খুনিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি খুনিরাও রক্ষাও রক্ষা পাবে না। দলের সকল কর্মীরাই আমার কাছে সন্তানের মতো। এনামুল আমার সন্তান। এনামুল হত্যার বিচারের ভার আমি নিলাম। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তার অবুঝ দুই শিশু সহ পরিবারের যে কোন বিপদে আমি পাশে থাকব।’
এর আগে গত শনিবার (২০ মে) এমপি বাহার এনামুলের জানাযায় পূর্বে বক্তব্যে বলেছিলেন ‘ খুনিরা ২২ হাত মাটির তলে গেলেও ধরে আনা হবে ইনশাল্লাহ।’
ইতিমধ্যে এনামুল খুনের ঘটনার ইতিমধ্যে এজহার নামীয় ৪ আসামী গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার দিন গভীর রাতে এজাহারভুক্ত ৭ নম্বর আসামি আলেখাচর দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী নিজাম উদ্দিন (৫৫) এবং ১০ নম্বর আসামি মো. জাকির হোসেন (৪৫)। গত শনিবার রাতে তাঁদের খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ ২ নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ ও ৩ নম্বর আসামি আবু সাঈদকে গ্রেফতার করে।
রবিবার মামলার ৩ নং আসামী আবু সাঈদ খুনের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপরদিকে ২ নং আসামী আমানউল্লাহ কে আদালতে আদেশে ৩ দিনের রিমান্ড এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যাকান্ডের মূল হোতা জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে আলেখাচর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে শিশু পুত্র মিজবা ও ভাতিজা ইমতিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ থেকে ফেরার পথে খুন হয় এনামুল।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই স্থানীয় জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম জহিরকে প্রধান আসামী করে ১০ জন নামীয় সহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও মাদ্রাসার কমিটি দখল নিয়ে পূর্ব বিরোধ ও সর্বশেষ মাদক সেবনের ভিডিও ফাঁস করার জেরে কুমিলায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলকে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে প্রস্তুতি হিসেবে হত্যাকারীরা জড়ো হয়েছিলেন একই মসজিদের জুমার নামাজে। এর আগের দিন রাতে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ছুরি সংগ্রহ করা হয়েছিল। নামাজ শেষ করেই ফেরার পথে এনামুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page